আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশীর নামে মোটরসাইকেল আটক করে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছেন থানা পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় চালককে হতে হচ্ছে শারিরিক নির্যাতন। পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা চাঁদার দাবিতে মোটরসাইকেল আটক করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারের।
 

ভুক্তভোগী উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের রতন মিয়ার পুত্র ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে শিকারপুর থেকে সে মটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে মাহিলাড়া বাজারে আসে। ওইবাজারে যাত্রী নামিয়ে বাজারের দক্ষিন পাশে বসে তার পূর্ব পরিচিত স্থানীয় মিলন সিকদারের সাথে কথাবলার সময় রাত আটটার দিকে গৌরনদী থানার এস.আই হারুন আকস্মিকভাবে তাদের আটক করে দেহ তল্লাশী করেন।

একপর্যায়ে তাদের সাথে অবৈধ কিছু না পাওয়া সত্ত্বেও এস.আই দু’জনকেই থানার নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। কারণ জানতে চাইলে এস.আই হারুন মটরসাইকেল চালক রিপন মিয়াকে বেদম প্রহার করেন।

এরইমধ্যে এস.আই হারুনের সোর্স পরিচয়দানকারী স্থানীয় বিলাশ কবিরাজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি দফরফার কথা বলে মিলন সিকদারের কাছ থেকে দু’হাজার টাকা নিয়ে এস.আই হারুনকে দিয়ে মিলনকে মুক্তি দেয়। অপরদিকে বিলাশ কবিরাজ রিপনের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তাকে মাদক মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে এস.আই হারুন তার কথিত সোর্স বিলাশ কবিরাজের কাছ থেকে নগদ চার হাজার টাকা নিয়ে তার কাছে মটরসাইকেলটি জিম্মি রাখে।

মোটরসাইকেল চালক রিপনকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিলাশের কাছ থেকে গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে বলে এস.আই হারুন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী রিপন মিয়া বুধবার রাতে বিষয়টি মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু’র কার্যালয়ে এসে জানালে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে স্থানীয় বিলাশ কবিরাজের জিম্মায় থাকা মোটরসাইলেকটি উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে এস.আই হারুন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রিপন ও মিলনকে সন্দেহভাজন হিসেবে দেহ তল্লাশী করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মটরসাইকেল আটক করে রাখার বিষয়টি তার জানা নেই।

কতিথ সোর্স বিলাশ কবিরাজ জানান, তার কাছ থেকে এস.আই হারুন নগদ চার হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলটি তার কাছে জিম্মি রেখেছেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০১৪)