নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে ভন্ডপীরের প্ররোচনায় গুপ্তধন পাওয়ার লোভে নুশরাত রুকাইয়া নামে তিন মাস বয়সের এক শিশু সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে এক বাবা। শুক্রবার সকালে উপজেলার মনপিরীত গ্রামে এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা ঘাতক বাবা নাজমুল হোসেনকে আটক করলেও পরে মানসিক রোগী বলে নাজমুলের স্বজন ও পরিবারের লোকজন তাকে কৌশলে সরিয়ে দিয়েছে । 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বড়াইগ্রামের মনপিরীত গ্রামের নাজমুল হোসেন পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। তার বাড়িতে নিয়মিত কিছু ভন্ড সন্যাসী বা দরবেশ জাতীয় লোকজন যাতায়াত করতো। এদের নিয়ে আসর বসানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার নাজমুল তার বাড়িতে একটি টিনের চালা ঘর তৈরি করেন। ভন্ড পীরের প্ররোচনায় গুপ্তধন পাওয়ার লোভে নাজমুল ভোর রাতে স্ত্রীর কাছ থেকে ঘুমন্ত ওই শিশুকে উঠিয়ে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে সকালে একটি কোরআন শরীফ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে নাজমুল হোসেন। এসময় স্থানীয়রা নাজমুলকে আটক করে। পরে নাজমুলের পরিবারের লোকজন মানসিক রোগী বলে দাবী করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় শিশুটির মা মঞ্জুয়ারা বাদী হয়ে নাজমুল হোসেনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

(এমআর/অ/নভেম্বর ২৮, ২০১৪)