রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : টানা দ্বিতীয়বার সাফ জয় করে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। তাদের দেশে ছাদ খোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তবে পাহাড়ের তিন খেলোয়াড় ঋতুপর্ণাও রুপনা ও মনিকাকে খোলা ট্রাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাফজয়ীদের সংবর্ধনা বিষয়ের এক জরুরি সভায় এই সিন্ধান্ত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান। তিনি বলেন, ছুটি শেষে নিজ জেলায় বাড়ি ফিরলেই তাদের এই সংবর্ধনা দেওয়ার হবে। গতবার যেভাবে দেওয়া হয়েছে, এবারও ক্রীড়া সংস্থা থেকে তাদের একইভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ছাদখোলা বা খোলা ট্রাকে ঘাগড়া থেকে রাঙামাটি শহরে ঘুরে স্টেডিয়ামে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হবে। দুই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কখন ফিরবে সেই হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।

রুপনা-ঋতুপর্ণা তাদের বাড়ি যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা প্রশাসক আরও বলেন,
যেহেতু মাঠে সংবর্ধনা দেওয়া হবে, তাই বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

ঋতুপর্ণা ও রুপনার বাড়ি যাওয়া রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু তারা দুজন দেশের জন্য এই গৌরব বয়ে এনেছে, তাদের বাড়ির রাস্তাটি কীভাবে কোন সংস্থার মাধ্যমে করা যায়, আমি দেখবো।

ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি রাঙামাটি জেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুর্গম মগাইছড়ি গ্রামে। যেখানে যাওয়ার জন্য ভালো কোনও সড়ক নেই। ধানক্ষেত দিয়ে ঘণ্টাখানেক হেঁটে যেতে হয় তার বাড়িতে।

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সেরা গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। তার বাড়ি রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে ভূঁইয়াদাম গ্রামে। ঢালু পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা বেয়ে রুপনার বাড়িতে যেতে হয়। আর মনিকা খাগড়াছড়ির বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ অক্টোবর) নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মনিকা ও দেশের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ঋতুপর্ণা। ২-১ গোলে বিজয়ী হয় বাংলাদেশ। আর ফাইনাল খেলায় সেরা খেলোয়াড় হন ঋতুপর্ণা ও টুর্নামেন্টে মাত্র ৪টা গোল হজম করায় সেরা গোলরক্ষক হন রুপনা চাকমা।

(আরএম/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০২৪)