মহম্মদপুরে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ

বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরার মহম্মদপুরে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করেছে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন নামের এক আাদা চাষী। সে মহম্মদপুর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের বনগ্রামের আমানত শেখের পুত্র। ওই চাষী নিজ বাড়ির পাশে আড়াই শতক জমিতে ৪শত বস্তা আদা চাষ করেছেন।
সরজমিন গিয়ে চোখে পড়ে, সুন্দর গ্রামীণ পরিবেশে সারিবদ্ধ আদার গাছের দৃশ্য। বস্তার মধ্যে সবুজ রঙের গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে। কিভাবে তিনি আদা চাষে ঝুঁকে পড়লেন এমন প্রশ্নে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান, বগুড়াতে বেড়াতে গিয়ে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ দেখে তার মনে স্বপ্ন জাগে উন্নত মানের ফলনশীল আদা চাষের। বাড়িতে ফিরে মনের স্বপ্ন পূরণ করতে সে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসকে আদা চাষ সংক্রান্ত বিষয় জানালে তারা এই চাষের সহযোগিতা করে।
জানা গেছে, আদা উন্নত মসলার জাত মানুষের কাছে এর চাহিদাও রয়েছে অনেক। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বস্তা পদ্ধতিতে বারি আদা-১জাত চাষ করেছেন ওই চাষী। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের প্রথম দিকে দস্তা, ছত্রাক নাশক, ডিএপি, পটাশ, জৈব সার ছাই মিক্সড করে, আধা বস্তা পরিমাণ প্রস্তুত করে, প্রতি বস্তায় ৭০ গ্রাম আদা রোপন করা হয়।
এ বিষয়ে আদা চাষী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে প্রতি বস্তায় ৩০ টাকা মত খরচ রয়েছে। আদা পৌষ মাসের মাঝা মাঝি সময়ে উঠবে। যদি ভাল হয়, তাহলে একটা বস্তা থেকে এক কেজি প্লাস আদা পাওয়া সম্ভব বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
আদার চাহিদা বেশি থাকায় এবং অল্প খরচে বস্তা পদ্ধতিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেকেই আদা চাষ করেছেন। পাঁচশত বস্তায় আদা চাষ করার প্রদর্শনী তিনি পেলেও জাগা স্বল্পতার কারণে ৪শত বস্তা দিয়ে তিনি এই প্রদর্শনী তৈরি করেছেন। বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি এলাকাবাসী অনেকেই শখ করে দেখতে আসেন।আদা চাষ করে সফলতা অর্জন করা যায় তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মোঃ রিয়াজ উদ্দিন।
এ বিষয়ে রাজাপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নকিবুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক কারণে কিছু আদা গাছের ক্ষতি হয়েছে।প্রতি বস্তাতে এবার ৮০০ শত থেকে ৯০০ গ্রাম আদা উঠবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
(বিএস/এসপি/নভেম্বর ৩০, ২০২৪)