রূপক মুখার্জি, নড়াইল : চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিমে মেঘনা নদীর পাড়ে মাঝিরচর এলাকায় নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজে সাতজন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায়। খুনের শিকার দুজনের লাশ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় নাই। 

নিহত দুইজন হলেন, উপজেলার ইতনা ইউপির উত্তর পাংখার চর গ্রামের মৃত মজিবার রহমান মুন্সীর ছেলে সুকানি আমিনুল রহমান মুন্সী (৪১) ও একই উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপির এগারোনলী গ্রামের আবেদ উদ্দীন ফকিরের ছেলে ইজ্ঞিন চালক সালাউদ্দীন ফকির (৪০)।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ইতনা ইউপির উত্তর পাংখারচর গ্রামে নিহত সুকানি আমিনুল রহমান মুন্সীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, স্ত্রীসহ তার আত্মীয় স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। আমিনুল রহমান মুনসী চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল। স্ত্রী নাদিরা বেগমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

নিহত ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিনের মামাত ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন,জাহাজে হত্যাকান্ডের বিষয়টি প্রথমে ফেসবুকে দেখতে পাই। এসময় খবরটি আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে যেয়ে আমার ফুফাতো ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তা না হলে তাদের এভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হতো না। যদি ডাকাতরা এই কাজ করতো তা হলে মানিব্যাগ, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেত। আমাদের দাবি, দ্রুত এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক, যাতে দেশে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

নিহত আমিনুল রহমান মুন্সীর বড় ভাই হুমায়ুন রহমান মুন্সী বলেন, ঘটনাটি আমরা ডাকাতি শুনলেও খুনের ঘটনার দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কারণ প্রত্যেকটি নিহতের মাথায় ধারলো অস্ত্রের আঘাত। যারা হত্যার শিকার হয়েছেন সকলেরই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জাহাজে ছিল।

এ রিপোর্ট লেখা পর্ষন্ত নিহতদের লাশ বাড়িতে পৌছায় নাই। তবে রাতে লাশ বাড়িতে পৌঁছাতে পারে বলে স্বজন ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪)