বগুড়া প্রতিনিধি : বাংলার প্রাচীন সভ্যতার টেরাকোটার রেপ্লিকা বগুড়ায় তৈরির পর বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা পালপাড়ার চুল্লিতে পোড়ানোর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত করা হয়।

বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা পালপাড়ায় রেপ্লিকাগুলো চুল্লি থেকে বের করার পর এবিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন এই কাজের তত্ত্বাবধায়ক ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


জানা যায়, বাংলার প্রাচীন সভ্যতা বগুড়ার মহাস্থান, নওগাঁর সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর, বাগেরহাটের ষাটগুম্বজ মসজিদ ও দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরের বিভিন্ন নিদর্শনের রেপ্লিকা তৈরির কাজ শুরু করে ঐতিহ্য অন্বেষন নামের সংগঠন। গত ১৮অক্টোবর থেকে ঐতিহ্য অন্বেষণের উদ্যোগে বগুড়ার শেখেরকোলা পাল পাড়ায় উল্লেখিত চার প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকার ৮জন মৃৎশিল্পীকে টেরাকোটা তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সেখানে প্রশিক্ষণকালে তাদের তৈরি রেপ্লিকা চুল্লিতে পোড়ানোর পর মঙ্গলবার সেসব উন্মুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও এডিবি এতে সহায়তা করছে। চুল্লিতে পোড়ানোর পর রিপ্লিকাগুলো খুব দ্রুত ফিনিশিং টাচ শেষে ও দাম নির্ধারণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য প্রেরণ করা হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাচীন বাংলার আড়াই হাজার বছরের সভ্যতা ও তার ঐতিহ্যকে মানুষের দোরগোড়ায় নিতেই রেপ্লিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের মাঝে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণার বিস্তার ঘটানোর পাশাপাশি এই কাজের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প যেমন আবারও প্রাণ ফিরে পাবে, তেমনি এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে।

(এএসবি/এএস/ডিসেম্বর ০২, ২০১৪)