অপমানিত ইতিহাস আর বীরত্বের দাবিদার পাক বাহিনী এখন বাঙ্গালীদের প্রশিক্ষণ দিতে চায়

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ১৯৭১ সালের পরাজয় এবং বর্তমান তালিবানদের কাছে তাদের নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনাগুলো তাদের সামরিক সক্ষমতার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল এটি ইতিহাসে সুনিশ্চিত এবং গর্বের বিষয়।
তালিবান মুখপাত্র সৈয়দ হায়দার হাসমীর বর্ণনা অনুযায়ী, আফগানিস্তানে তালিবানদের কাছে পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থা আরও করুণ। তালিবান যোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি সেনারা জীবনের ভয়ে জামাকাপড় খুলে পালিয়েছে, কাতারে কাতারে প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনা পাকিস্তানি সামরিক সক্ষমতার আরও একটি অপমানজনক অধ্যায়।
এতবার পরাজিত এবং আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি সেনারা এখন বাংলাদেশের বিজয়ী সেনাবাহিনীকে ট্রেনিং দেওয়ার কথা বলে! এটি নিছক একটি হাস্যকর দাবি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজিত সেনাবাহিনীকে ট্রেনিং দেওয়ার দাবি তোলা চরম মিথ্যাচার এবং আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য মানহানিকর।
পাকিস্তান তাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে, নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে অন্য দেশের সাফল্যের গল্প বিকৃত করছে। এটি তাদের চিরকালীন অপপ্রচারের একটি অংশ, যা আমাদের জাতীয় গর্বকে আঘাত করার একটি কৌশল।
আমাদের বিজয়ী সেনাবাহিনী, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে চলেছেন, তাঁদের প্রতি এ ধরনের দাবি অবমাননাকর। আমাদের উচিত এ ধরনের অপপ্রচারের জবাব দেওয়া এবং আমাদের সেনাবাহিনীর বীরত্বগাঁথা নিয়ে গর্বিত থাকা।ওদের বিষদাত এখন পুনরায় কামড় দেওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছে। এ লজ্জা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়, সমগ্র বাঙ্গালীর।
(এনআরকে/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪)