রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় তামিম খান (১৬) নামে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুলসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

নিহত তামিম খান সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের হাড়িগাড়া গ্রামের রুবেল খানের ছেলে।

আজ রবিবার সকালে লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনী এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপ থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে ভ্যানচালক কিশোর তামিম খান নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিহত কিশোরের চাচাতো ভাই জানায়, তামিম অভিযুক্ত আমিনুলকে ভ্যানে নিয়ে যেতে দেখেছে। পরে নিহতের স্বজনরা অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।

পরে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল স্বীকার করে যে, তামিমকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে হত্যার পর লোহাগড়া পৌর সভার মশাঘুনি এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপে ফেলে দেয় এবং চোলাইকৃত ভ্যানটি বিক্রি করেছে।

পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল লোহাগড়া উপজেলার মশাঘুনি এলাকা থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে আসামি আমিনুলকে লোহাগড়া থানায় হস্তান্তর করেন।

নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে তামিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে লোহাগড়ার মশাঘুনি এলাকায় ফেলে দিয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহর সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক ও চোরাই ভ্যান কেনাবেচার অভিযোগে নাওরা গ্রামের নেহাল উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার (৪২), তার ছেলে ইসমাইল (১৭), ঈমান শেখের ছেলে সলেমান শেখকে (৩১) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

কিশোর ভ্যানচালককে হত্যার ঘটনায় আটক আমিনুল নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আশিকুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।

(আরএম/এসপি/জানুয়ারি ০৫, ২০২৫)