বিনোদন ডেস্ক : শুক্রবার ছিলো নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে সারাদিনই ভক্ত ও শুভাকাঙ্খিদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। কিন্তু ঘরের মানুষ অর্থাৎ স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার কাছ থেকে পেয়েছেন সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজটা।

প্রিয়তম স্বামীর জন্মদিন, সে উপলক্ষে সকাল সকাল একটি কেক কিনে বাসায় নয়, বরং হেলিপ্যাডের দিকে রওনা দেন তিশা। কারণ একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংয়ে জন্য আগে থেকেই কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন নির্মাতা ফারুকী ও তার দলবল।

স্বামী ফারুকীর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কিনে বের হচ্ছেন তিশা
তাই কেক কিনেই হেলিকপ্টারযোগে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিশা।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেয়ার আগ মুর্হুতে তিশা
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিজ্ঞাপনটির চিত্রধারণের কাজ শুরু হয়। বলে রাখা ভালো, এই বিজ্ঞাপনটির চিত্রধারণের কাজে দুপুর নাগাদ ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টার এসে পৌঁছানোর কথা ছিল।
দুপুরের দিকে বিজ্ঞাপনটির চিত্রধারণের কাজ চলছিলো আর ফারুকীর চোখ ছিলো একটি ছোট মনিটরে। এসময় চারদিকে ধুলো উড়িয়ে শুটিং স্পটের মাঝখানে এসে হাজির হয় সেই হেলিকপ্টারটি। শুটিংয়ের মাঝে হেলিকপ্টার দেখে চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু ফারুকীর সেই চিৎকার হঠাৎ করেই থেমে যায়, কারণ ততক্ষণে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসে এক নারী। তাকে দেখে ফারুকী এবার চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘আরে, এই টা তো আমার বউ’।
হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসছেন তিশা
হেলিকপ্টার থেকে নেমে এসে স্বামী মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান স্ত্রী তিশা। তারপর সবাই মিলে সমুদ্র সৈকতেই কেক কাটেন।
তিশাসহ ইউনিটের সবার সঙ্গে জন্মদিনের কেক কাটছেন ফারুকী
এ সর্ম্পকে তিশা জানান, ফরুকীকে জন্মদিনের সারপ্রাইজ দিতেই হেলিকপ্টারে চড়ে কক্সবাজারে আসেন তিনি। তার আসার বিষয়ে শুটিং ইউনিটের দুই একজন আগে থেকে জানলেও, তারা তা চেপে গিয়েছিলেন। তাই তাকে দেখে ফারুকী অবাক হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে শুটিং শেষে বিকেলে কক্সবাজারের হিমছড়িতে ঘুরতে যান তারা। তারপর রাতে হোটেলে ফিরে সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করেন।
(ওএস/এএস/মে ০৩, ২০১৪)