আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : বিদ্যালয়ের কমিটিতে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের নাম এক নম্বরে না রাখায় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্ধশত নেতাকর্মীরা বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে তার কক্ষে ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো।

বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে নেতাকর্মীরা সটকে পরেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যার পর পরই হঠাৎ করে একদল নেতাকর্মী বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকীর কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে হৈচৈ শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন নেতা বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে তার কাছে জানতে চান, কেন জিয়া উদ্দিন সিকদারকে নগরীর এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির তালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়নি। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মী টেবিল চাপড়ে বোর্ড চেয়ারম্যানকে হুমকি প্রদর্শন করেন।

ঘটনাস্থলে যাওয়া নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার তুষার দাবি করেন, তিনি বোর্ড চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে কুশল বিনিময় করেছেন। চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করা হয়েছে এমনটা তিনি দেখেননি।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক তারেক সোলায়মান বলেন, আমি কেন বোর্ডে যাব? আমি কিছুই জানি না। ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস তালুকদার বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। এসময় চেয়ারম্যানকে আমরা বলেছি সম্ভব হলে জিয়া ভাইয়ের স্কুলের কমিটির বিষয়টা দেখবেন।

শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির প্যানেলে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদারকে। এক নম্বরে রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের স্ত্রীকে।

বোর্ড চেয়ারম্যান আরও বলেন, একদল কর্মী জানতে চেয়েছে, কেন জিয়া ভাইয়ের নাম দুই নম্বরে গেল। আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কে আহবায়ক হবেন, তা বিভাগীয় কমিশনার নির্ধারণ করে তালিকা পাঠিয়ে থাকেন। এখানে আমাদের হাতে কিছুই নেই।

এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, আমি ঢাকায় আছি। যারা বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিল তাদের কাউকেই আমি চিনিনা।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫)