রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বিদ্যুয়ায়িত হয়ে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন সাতক্ষীরা সদর থানার কনস্টেবল সোহাগ আলী। শনিবার রাত  ১০টার দিকে ঢাকা জাতীয় বার্ণ ইউনিট এন্ড প্লাস্টিক সার্জারীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তবে তিনি কিভাবে বিদ্যুতায়িত হলেন তার কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

কনস্টেবল সোহাগ আলী চুয়াডাঙা জেলা সদরের ঝিনাইদহ বাসস্টান্ড পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিনের ছেলে।

যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন একটি ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৬টা থেকে বিদ্যুতায়িত তার ভাই সাতক্ষীরা সদর থানার কনস্টেবল সোহাগ আলী ঢাকা জাতীয় বার্ণ ইউনিট এন্ড প্লাস্টিক সার্জারীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলো। শনিবার রাত ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘেষেণা করেন। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে তা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, সদর থানায় কর্মরত কনস্টেবল সোহাগ আলী ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে মধুমোল্লারডাঙিতে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার জন্য থানা থেকে বের হয়ে যায়। ওই মাহফিলের প্রধান বক্তা ছিলেন তারেক মনোয়র। সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে থানায় ফোন করে জানানো হয় যেয়ে সোহাগ বিদ্যুতায়িত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিজেই হাসপাতালে ছুঁটে আসেন। তার শরীর ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। পরদিন তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তবে সোহাগ কথা বলতে না পারায় বিদ্যুতায়িত হওয়ার কারণ জানা যায়নি। সোহাগ ভালভাবে কথা বলতে পারলে রহস্য উন্নোচন সহজ হতো।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামিনুল হক মোবাইল ফোনে সোহাগের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি অসুস্থ রয়েছেন। বিস্তারিত কর্তব্যরত অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার কর্তব্যরত অফিসার সহকারি উপপরিদর্শক রীনা খাতুন জানান, সোহাগের লাশ সাতক্ষীরায় কিভাবে, কখন আনা হবে তা এই মুহুর্তেই বলা সম্ভব নয়। পওে বিস্তারিত জানানো যাবে।

(আরকে/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫)