আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার উত্তর সাকোকাঠী গ্রামের।

আজ রবিবার সকালে ওই গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সাকোকাঠী মৌজায় বসতবাড়ি, ভিটে ও পুকুরের এক একর ৩৭ শতক জমি ক্রয় এবং ওয়ারিশসূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসছি।

তিনি আরও বলেন, জমি নিয়ে চাচাতো ভাই কবির হোসেন, মোস্তফা হাওলাদার গংদের সাথে তার ভাটোয়ারা মামলা চলছে। যা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই জমিতে হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জন্য স্থিতিবস্থা জারি করা হয়। যা বর্তমানে চলমান। স্থিতিবস্থার কপি আদালত থেকে বিবাদী ও থানায় পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ করে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আরও বলেন, জমিতে স্থিতিবস্থা থাকা সত্বেও চাচাতো ভাইদের পক্ষ নিয়ে পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান, সরিকল ইউনিয়নের মহিষা গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল মোল্লা ও তাদের সহযোগিরা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের জন্য জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে গাছ লাগানো ও বালু ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় প্রভাবশালীদের বাঁধা প্রদান করায় তাকে (মুক্তিযোদ্ধা) ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করা হয়। অসহায় মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার প্রভাশালীদের হাত থেকে জমি রক্ষা ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তবে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান ও আফজাল মোল্লা হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের জানামতে জমির মালিক কবির হোসেন ও মোস্তফা হাওলাদার গংরা। তাদের কাছ থেকে আমারা বালু ভরাটের কন্টাক্ট নিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধার কোন অভিযোগ থাকলে তা কবির ও মোস্তফা গংরা বলতে পারবেন। এখানে প্রাণনাশের হুমকির কোন ঘটনা ঘটেনি।

কবির হোসেন ও মোস্তফা হাওলাদার বলেন, আমাদের নিজেদের জমিতে আমরা কাজ করছি। পরবর্তীতে আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিবো।

এ ব্যাপারে সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, স্থিতিবস্থার কপি থানায় আছে কিনা জানা নেই। তবে আমরা এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি। কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতের নির্দেশন পালন করা হবে।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০২৫)