প্যান্ট খুলে ধর্মের পরীক্ষা দিতে না চাইলে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙতে হবে বটে

শিতাংশু গুহ
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীরা ২৬ জন টুরিষ্টকে হত্যা করেছে–-যারা এ ন্যারেটিভ দিচ্ছে তারা মুসলিম সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে, এবং পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদের পক্ষে ওকালতি করছে। এ লোকগুলো হামাসের জন্যে রাস্তায় নেমেছে, এবং এখন হিন্দু ভিকটিমদের জন্যে মনগড়া ন্যারেটিভ খুঁজছে। এ হত্যাকাণ্ডের সত্যিকার ন্যারেটিভ হচ্ছে, ইসলামী সন্ত্রাসীরা জ্বিহাদী মানসিকতায় ২৬ জন কাফের হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাঁরা প্যান্ট খুলে ধর্ম পরীক্ষা করেছে, বেছে বেছে হিন্দু মেরেছে, এটি টার্গেট কিলিং।
মুর্শিদাবাদে ইসলামী সন্ত্রাসের পর কারা যেন সাফাই গাইছিলো? মিডিয়ায় দেখেছি মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের এক হিন্দু সভাপতি পালতে বাধ্য হয়েছে। ওরা কিন্তু তৃণমূল দেখেনি, দেখেছে হিন্দু। সুযোগ পেলে ওঁরা পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু তৃণমূলীদেরও মারবে, কারণ দিনশেষে ওঁরা হিন্দু মারে, কে তৃণমূল, কে কংগ্রেস, কে অনুকূল ঠাকুর, কে তফসিল, কে মতুয়া তা দেখেনা, আপনি নিজে যতই মুসলিম প্রেমিক সাজার চেষ্টা করুন না কেন, দিনশেষে আপনি কাফের, হিন্দু।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হেকিম কি বলেছে ভুলে গেছেন? তার মা কিন্তু হিন্দু ছিলেন, জন্ম দিয়েছেন এক কুলাঙ্গার পুত্রের। সোনাক্ষি বলুন বা স্বরা ভাস্বর বলুন, এরাও কিন্তু কবির সুমনের মত কুষ্মান্ডই জন্ম দেবে। শত্রুঘ্ন সিনহা’র বক্তব্য শুনেছেন? লক্ষ্য করলে দেখবেন যারা এমনতর কথাবার্তা বলে তাঁদের শ্বশুড় বা বেয়াই বাড়ী পাকিস্তান! ভারতের ইসলামিষ্ট, বাম ও মমতাপন্থীদের চরিত্র একই, এরা ভারতে বসে হিন্দুদের ‘গান্ধা’ বলে গালি দেয়, এবং মোল্লার বাড়িতে ঘুমায়।
পেহেলগামে তৌহিদী জনতার যে নৃশংসতা বিশ্ববাসী দেখেছে, তা পশ্চিমবঙ্গেও ঘটবে, শুধুমাত্র সময়ের ব্যবধান। বিশ্বব্যাপী ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তের কারণ হচ্ছে, এঁরা স্বজাতির মধ্যে আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়। পেহেলগামে বেশিরভাগ মুসলমান এ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হলেও এদের মধ্যেই কেউ বা কারা সন্ত্রাসীদের সুযোগ করে দিয়েছে বটে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, এদের কেউ কেউ এখন ন্যারেটিভ সাঁজানোর চেষ্টা করছে যে, ভারত ইচ্ছে করেই এঘটনা ঘটিয়েছে!
এটি নুতন নয়, ঢাকায় শেখ হাসিনা’র সভায় (২১শে আগষ্ট ২০০৪) গ্রেনেড হামলায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। ৯/১১-এ ইসলামী সন্ত্রাসীরা নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস করার পর তাদের দোসররা প্রচার করে দেয় যে, ওটা ইহুদীরা করেছে। এই ‘আল-তাকিয়া’ নুতন নয়, সমস্যা হলো মহুয়া মৈত্ররা শুধুমাত্র ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থে ইসলামী গোয়েবলসীয় প্রচারনায় হাত মিলায়।
পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। কুম্ভকর্ণের এ ঘুম না ভাঙলে খবর আছে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চাইতে বেশি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। ড: মোহাম্মদ ইউনুস পুরো জাতিকে ‘এন্টি-হিন্দু’ ও ‘এন্টি-ভারত’ হতে উস্কানি দিচ্ছে। ভারতবর্ষে অন্যূন এক কোটি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে মমতার ভোটার সেঁজে ইসলামী মৌলবাদী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গুজরাটে ১হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ধরেছে।
ভারতের উচিত বাংলাদেশিদের সসম্মানে দেশে ফেরত পাঠানো। আমেরিকা যদি অবৈধদের ফেরত পাঠাতে পারে, ভারতও পারবে। তবে মমতাকে না হটালে পশ্চিমবাংলার হিন্দু’র আশা কম। সেক্ষেত্রে কলকাতার রাজনীতিকরা হয়তো নুতন করে ১৯৪৭-র অসমাপ্ত ‘জনসংখ্যা বিনিময়’ চাইতেও পারেন। ভুলে গেলে চলবে না যে, ভারত ভাগ হয়েছিলো ধর্মের ভিত্তিতে, ভাতের জন্যে নয়? প্যান্ট খুলে ধর্মের পরীক্ষা দিতে না চাইলে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গতে হবে বটে!
লেখক : আমেরিকা প্রবাসী।