ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও পদ্মার চরের জমি দখল নিয়েগোলাগুলির ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪ জন আটক হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মুকুল  গ্রুপ আধিপত্য বিস্তার করতে চর এলাকায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে গ্রামবাসীর মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে যৌথ বাহিনী চর এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন। 

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আজ রবিবার সকালে জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪ জন আটক হয়েছে এবং আটককৃতদের পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযানে আটককৃতরা হলো- কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বাগগাড়িপুর গ্রামের মৃত মুক্তার মন্ডলের পুত্র আল-আমিন (২৮), কুষ্টিয়ার ইবি থানার লক্ষীপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের পুত্র তোজাম্মেল হক (৩৫), পাবনা সদর থানার চর প্রতাপপুর গ্রামের হবিবুল্লাহ মালিথার পুত্র সাগর হোসেন মালিথা (১৯) ও একই গ্রামের শুকুর মালিথার পুত্র নাসিম ইসলাম (৪০)।

এর আগে গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ুলিয়া গ্রামে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধরা হলেন উপজেলার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের আকাত মাঝির ছেলে মো. পিল্লু (২৬), একই গ্রামের হাবিবুল ইসলামের ছেলে সুবাইল ইসলাম (২৭), আতিয়ার প্রামানিকের ছেলে আসিফ (২৫), রাজ্জাক ফকিরের ছেলে শফিকুল (২৮) এবং মৃত মানিক মৃধার ছেলে মক্কেল মৃধা (৪৮)।

এলাকাবাসীরা জানান, শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ুলিয়া গ্রামে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর থেকে রাত অবধি পুলিশ ও যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৪ জন আটক হয়েছে।

ঈশ্বরদী সার্কেল’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি দখল নিয়ে গুলির খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এসময় চার জনকে আটক করা হয়েছে। গোলাগুলি ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চরগড়গড়ি গ্রামের হাবিবুল প্রামাণিক বাদী হয়ে ২৬ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতরা এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান তিনি।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২৫)