ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : টানা ৭ দিন দাবদাহের পর মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত হয়েছে। দুপুর তিনটা থেকে প্রায় ছয়টা পর্যন্ত অঝোড় ধারায় রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ ৫১ মিলিমিটার বর্ষিত হয়েছে। সেইসাথে ছিল ঝড়ো হাওয়া এবং বিদ্যুৎ চমকানি এবং গর্জন। তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশী হলেও স্বস্তি ফিরেছে মানুষের জীবনে।

গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছিল। মরু অঞ্চলের ‘লু’ হাওয়ার মতো গরম বাতাস প্রবাহিত হয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথায়ও ছিল না স্বস্তি। শহর, গ্র্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন! জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের জীবন হয়ে উঠেচিল ওষ্ঠাগত! তাপমাত্রার কাঁটা তীব্র তাপপ্রবাহ ছুঁই ছুঁই করছিল। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ঈশ্বরদীতে প্রাণিকুলও তেতে উঠে। সোমবার থেকে দাবদাহ কমতে শুরু করেছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারি পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন মৌসুমের প্রথমেই রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২২ এপ্রিল হতে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে দাবদাহ। মাঝারি দাবদাহ ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠেছিল। তাপমাত্রা প্রায় ৭-৯ ডিগ্রীর মতো কমেছে। সোমবার তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। আর মঙ্গলবার ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এদিকে অধিক পরিমাণ বৃষ্টিতে নীচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমবাগান ও নূরমহল্লার বস্তিপাড়া এলাকায় কিছু কিছু বাড়ির আঙ্গিনায় ও ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বসিতপাড়ার সুদেব দাস বলেন, বাড়ি আঙ্গিনা জনমগ্ন হলেও জীবনে শান্তি ফিরেছে।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০২৫)