‘প্রতিটি অঞ্চলের শিল্পীর গানের রয়্যালটির ব্যবস্থা করা হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, দুই মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প ঘোষণা করা হবে, যার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি অঞ্চল ও শিল্পীর গান রেকর্ড করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি গানের রয়্যালটি যেন পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করা হবে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকারসহ সংগীতায়তনের সংশ্লিষ্ট সকলের সৃজনশীলতা সংরক্ষণ এবং নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে মেধাসম্পদের অধিকার সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপে এবারের বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস পালিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফারুকী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সম্পদ গান। আমাদের নানা ধরনের গান আছে। মন ভেঙে গেলে আমরা গান গাই, আনন্দ পেলেও গাই। সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব গান আছে। আমরা যখন ওইসব গান জনপ্রিয়তা পায় তখন বুঝতে পারি সেটা কত সুন্দর। কিন্তু আগে জানতে পারি না। এমন হাজার হাজার গান আমাদের আছে। যা প্রকৃত দেশের সম্পদ।
তিনি বলেন, সেগুলো নিয়ে একটা বড় প্রজেক্ট করছি। গানগুলো সারাবিশ্বে প্রেজেন্ট করবো। আবার সেসব শিল্পী যেন ওই গানের রয়্যালটি পান সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই প্রজেক্ট ঘোষণা আসবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। মেধাসম্পদ আইনসমূহের আধুনিকায়ন, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মসহ সকলক্ষেত্রে মেধাসম্পদ অধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতি বছর ২৬ এপ্রিল এ বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস পালিত হয়। এবারে দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আইপি অ্যান্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি’। মেধাসম্পদ দিবসের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী, অভিনেত্রী ও সংগীত পরিচালক আরমিন মুসা। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমান।
(ওএস/এএস/মে ০১, ২০২৫)