স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় : সারা দুনিয়ার ন্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মহান মে দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সূচি অবলম্বনে পঞ্চগড়েও শোভাযাত্রা, আলোচনা, বিশেষ খাবার পরিবেশন হয়েছে। মে দিবস উপলক্ষ্যে সকাল দশটায় পঞ্চগড় কালেক্টরেট চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রা শেষ হয় পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে।

পরে এক আলোচনা সভায় মিলিত হোন বিভিন্ন সংগঠনের শতশত কর্মচারী ও শ্রমিক শ্রেণির জন মানুষরা।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃ সাবেত আলী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। এ সময় জেলা পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতনরাও উপস্থিত ছিলেন।অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মহান মে দিবস উদযাপনে শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সকাল ৯টা থেকে শহরে বিভিন্ন অলিগলি ধরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা কালেকক্টরেট চত্বরে জমা হতে থাকে। পরে বিশাল আকারের মিছিলটি বাদ্য বাজিয়ে নেঁচে-গেয়ে শোভাযাত্রা অংশ নেয়। তবে ১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরে মালিক পক্ষের নৃশংসতার রক্তভেজা শার্টের স্মৃতিচিহ্নের লাল টি-র্শাট শ্রমিকদের গায়ে তেমনটা দেখা যায়নি। নানা কালারে মহান মে দিবসের লগো খঁচিত টি-শার্ট তাঁদের গায়ে ছিলো। পয়েলা মে শ্রমজীবি মানুষদের শ-পথ নেবার দিন।

সারাদেশ তথা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশের পঞ্চগড়েও এইদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল পর্বের গাঁথুনী ছিলো অনিন্দ্য। ১৮৮৬সালের পয়লা মে, শ্রমিকরা দাবী তুলে ন্যায্য পাওনার, শর্ত জুড়ে দেয়, দিনে ৮ঘন্টা কাজের। মালিকপক্ষ নারাজ, শ্রমিকরাও অনঢ়। নিষ্ঠুর মালিক পক্ষের নৃশংসতায় বুকের রক্ত ঢেলে প্রতিষ্ঠা করে তাদের দাবী। সেই দাবি আদায়ের প্রায় দেড়শত বছর পরেও বিশ্বমহলে শ্রমিকরা এখনও অবহেলিত,শোষিত এবং নির্যাতিত। মহান পয়লা মে দিনটি হবার কথা সারা দুনিয়ার শ্রমিকদের আনন্দ উৎসবের, তবে কেনো হৃদয়ের বাসায় বৈষম্যের গ্লানি?

(এআর/এএস/মে ০১, ২০২৫)