রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : অবশেষে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামে নিজের শরীরে আগুন লাগানো কলেজ ছাত্রী তুলির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে খুলনা মডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তুলি (১৭) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের কামরুল সরদারের মেয়ে ও তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।

মৃতের বাবা কামরুল সরদার জানান, তিনি খুলনায় ভ্যান চালান। স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে। মেয়ে তুলি তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পড়াশুনা করতো। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সূযোগে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তুলি। একপর্যায়ে বাঁচার জন্য চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভাঁতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে তার শরীরের থাকা কাপড়সহ ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে তুলির মৃত্যু হয়।

স্থানীয় একটি দাশিত্বশীল সূত্র জানায়, করিকারপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম জনৈক আমিনুল ইসলামকে কলেজ ছাত্রী তুলি ভালবাসতো।তবে ইমাম সাহেব তুলির প্রেমে সাড়া না দিয়ে ইমামতির চাকুরি ছেড়ে চলে যান। প্রেমে ব্যর্থ হয়েই হয়তো সে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে বলে ধারনা তাদের।

খবর পেয়ে তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোঃ শাহিনুর রহমান ওই ছাত্রীর বাড়িতে ছুটে যান।

এ ব্যাপারে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, তুলির মৃত্যুর খবর তিনি লোকমুখে শুনেছেন।

(আরকে/এসপি/মে ০২, ২০২৫)