কেশবপুরে চাঁদা না দেয়ায় হামলা, অভিযুক্ত পৌর বিএনপি নেতা

যশোর প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে ভবন নির্মাণে চাঁদা না দেয়ায় এক জমির মালিক ও তার পরিবার হামলার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় কেশবপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোগতী নরেন্দ্রপুর এলাকার মোকাম গাজী তার কেনা জমি নিয়ে প্রতিবেশী নূর ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই নিয়ে আদালতে মামলা হলে রায় তার পক্ষেই আসে। পরবর্তীতে তিনি পৌরসভার নকশা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর প্রতিপক্ষ আবারও মামলা করে, তবে গত ৮ এপ্রিল সেই রায়ও মোকাম গাজীর পক্ষেই যায়।
রায় পাওয়ার পর কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদ সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় শেখ শহীদের অনুসারীরা তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতে থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত শুক্রবার (২৫ শে এপ্রিল) জুমার নামাজের আগে শেখ শহীদ ও তার লোকজন নির্মাণাধীন ভবনে এসে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা মোকাম গাজীর ছেলে মামুনকে মারধর করেন এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান। কুড়াল ঠেকাতে গিয়ে মামুনের হাতে গুরুতর জখম হয় এবং তাকে দ্রুত কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তার হাতে আটটি সেলাই দেওয়া হয়। মোকাম গাজী ও তার মেয়ে বাধা দিতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন।
মোকাম গাজী জানান, তিনি বিষয়টি কেশবপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদকে জানিয়েছেন। যিনি তাকে জেলা বিএনপিতে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ওরা বুলডোজার দিয়ে সব ভেঙে দিয়েছে। আমরা এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্ত পৌর বিএনপির সম্পাদক শেখ শহিদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, একটি চক্র ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য অপপ্রচার করছে। আমার দল এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না এবং আমি এসবের সাথে জড়িত নই।
জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানিয়েছেন, এমন ঘটনার অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
(এসএ/এএস/মে ০৪, ২০২৫)