ভিসা আবেদন না করায় ১৪ হজ এজেন্সির কাছে ব্যাখ্যা তলব

স্টাফ রিপোর্টার : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা আবেদন না করায় ১৪টি হজ এজেন্সি কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে সরকার।
রবিবার (৪ মে) এজেন্সিগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ৩ মে বিশেষ ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে ৫ মে দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসার আবেদন Nusuk Masar Platform এ দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। ওই সময়ের পরে Nusuk Masar Platform বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়। ওই ক্ষুদেবার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩ মে হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব সমন্বয়কারী এজেন্সি ও লিড এজেন্সিকে পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া একই দিন রাত ১০টায় জুম সভায় বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করা হয়। এরপরেও এ এজেন্সিগুলো ৪ মে পর্যন্ত সব হজযাত্রীর পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট করে ভিসা সাবমিশন করেনি। এছাড়া ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ৪ মে সন্ধ্যা ৭টায় আয়োজিত জুম সভায় অংশগ্রহণ করেনি।
ফারুক ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস, রিলেশন ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস, স্মার্ট ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, সুবর্ণলতা এয়ার ট্রাভেলস, আল আরাফা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা এয়ার এভিয়েশন সার্ভিস, ফাহমিদ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, ছালামত হজ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, দ্য ইসলামিয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, থাসিন ট্রাভেলস, ভেনিস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, প্রত্যাশা ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস, মেসার্স সুপার নির্ভানা ইন্টারপ্রাইজ, সালাম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
জুম সভায় অংশগ্রহণ না করা এবং হজযাত্রীদের ভিসার আবেদন দাখিল না করার কারণ ৫ মের মধ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখায় লিখিতভাবে দাখিল করার জন্য বলা হলো। অন্যথায় এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১ ও হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২২ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
(ওএস/এএস/মে ০৫, ২০২৫)