রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দোকান ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম কামরুজ্জামান বিদ্যালয় সংলগ্ন দোকান ভাড়া বাবদ নড়াগাতি থানার মহাজন উত্তর পাড়ার মৃত ওমেদ মোল্যার ছেলে ব্যবসায়ী মিরু মোল্যার কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে দোকান ভাড়া বাবদ চুক্তিপত্রে সহি করেন।

কিন্তু প্রধান শিক্ষক বি এম কামরুজ্জামান ওই দোকানদারের নিকট থেকে দেড় থেকে দুই মাস আগে দোকান ভাড়া বাবদ ৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করেন।

কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল তারিখে প্রধান শিক্ষক বিএম কামরুজ্জামান স্টাম্পে ৮০ হাজার টাকা অগ্রীম এবং মাসিক ৩ হাজার ৪ শ টাকা তিন বছরের জন্য উভায় পক্ষ চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করেন।

দোকানদার মিরু মিয়া বলেন, 'আমি প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানকে দেড় মাস আগে ৪০ হাজার টাকা দোকান ভাড়া বাবদ দিয়েছি। এই টাকা না দিলে প্রধান শিক্ষক আমাকে দোকান ভাড়া দিবেন না, তাই ব্যাবসার কারনে বাধ্য হয়ে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি চুক্তি নামায় স্বাক্ষরের দিন প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানকে নগদ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করি সেই টাকা চুক্তি নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। দেড় মাস আগে আমার নিকট থেকে নেওয়া ৪০ হাজার টাকা লিপিবদ্ধ করেন নাই প্রধান শিক্ষক। আমার বিশ্বাস, তিনি আমার দেওয়া ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।’

এ ঘটনা ভুক্তভোগ মিরু মোল্যা সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন এবং ৪০ হাজার টাকা ফেরত চান।

এ ব্যাপারে বড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং সাংবাদিকদের নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভুঁইয়ার সাথে কথা তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার কাছে কেউ অভিযোগ করে নাই। তবে ঘটনা দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদ বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে এটা আশা করা যায় না। তবে কোন অভিযোগ বা পত্রিকায় খবর ছাপানো হলে আইন গত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।’

(আরএম/এসপি/মে ০৫, ২০২৫)