আবদুল হামিদ মাহবুব’র একগুচ্ছ লিমেরিক

ধর্মে কেনো ভাগাভাগি
ধর্মে আছে শান্তির কথা হিংসা ধর্মের পাশে না
ধর্ম ছাড়া কোনো মানুষ স্রষ্টা ভালোবাসে না
ধর্মধারী মানুষ থাকো
মনুষ্যত্ব বজায় রাখো
ধর্মে কেনো ভাগাভাগি আমার বুঝে আসে না!
এই যে মানুষ সুবিধাবাদী
যেই মানুষে, মানুষ দেখাতে এটা সেটা করে কাজ
এই যে মানুষ সুবিধাবাদী নাই কোনো তার লাজ
এমন মানুষ থাকে ফুরফুরে
খুঁজলেই পাবে কাছে ও দূরে
এই সময়ে ওদের মাথায়, না যেনো উঠে তাজ।
তোর দিনও আসছে
দাদীমার পরিণতি, দেখে মায়ে হাসছে
ছেলে বলে; এই মা, তোর দিনও আসছে
ঘরে এলো ছেলে বউ
ফুর্তিতে মউ মউ
বছরটা যেতে মায়ের, চোখ জলে ভাসছে!
তারও পাওয়ার চাই যে তেমন
একব্যক্তি রাষ্ট্র প্রধান দলের প্রধান সংসদেও নেতা
হাসু বুবু যা করেছেন, বুবুর মতো করেই যাবে সে তা
বুবুর পাওয়ার ছিলো যেমন
তারও পাওয়ার চাই যে তেমন
না হলেতো তার হৃদয়ে, পাহাড়সম থাকবে জমে ব্যথা!
সব জনতার ভোট প্র্যাকটিস
বিনা ভোট রাতের ভোট আমি ডামীর ভোট
এসব ভোটের এমপি নিয়ে রাখতে গরম ঠোঁট
লজ্জা ওরে লজ্জারে
নাওরে চির শয্যারে
সব জনতার ভোট প্র্যাকটিস করছো তোরা লুট।
ঘুসখোর খায় ঘুস
দুরছাই হলো কি গুড়গুড় সাজ সাজ
বিপ্লব বিফলেরে! মাথাতে পড়ে বাজ
ঘুসখোর খায় ঘুস
কারে আর দেবো দোষ?
সব আছে ঠিকঠাক কদুটাই লাউ আজ!
নারী তো নয় পর
নারী চলবে নারীর মতো, নারী তো নয় পর
মা ভগিনী বধু ওরা, প্রিয় যে জনম ভর
তোমরা যারা জাননি সেটা
তোমাদের জন্য বাণী যে, এটা-
'অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর'।
সে-ই সেরা বুঝদার
এসময়ে কতজনের কতরূপ ভাব পাই
গুরুজন মান্যতার হারিয়েছে স্বভাবটাই
মোটাসোটা যার ঘাড়
সে-ই সেরা বুঝদার
তবুও জ্ঞান দেওয়া মানুষের অভাব নাই!