যশোর প্রতিনিধি : হত্যা, অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান ও বিস্ফোরক মামলার ৩৩ মামলার অভিযুক্ত আসামি কাজী তারেক অবশেষে ধরা পড়েছেন যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় যশোর সরকারি এম এম কলেজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন।

দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান। আটক কাজী তারেক ওরফে তরিকুল ইসলাম শংকরপুর পশু হাসপাতালের পেছনের মৃত পিয়ারু কাজীর ছেলে। পুলিশের তথ্যমতে, তারেক দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিহ্নিত হেরোইনকারবারী। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মাদক, ৬টি চোরাচালান, ২টি বিস্ফোরক, ১টি খুন, ১টি অস্ত্র এবং ৪টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতের ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছদ্মবেশে পলাতক ছিলো তারেক। দেড় মাস ধরে ছদ্মবেশে পুলিশ তাকে ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। সর্বশেষ সরকারি এম এম কলেজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ বলছে, তারেক চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভাইপো রাকিবকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলারও অভিযুক্ত। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তবে পুলিশের দাবি, রাকিব হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি ছিল তারেকের বহুমাত্রিক অপরাধজগতের কেবল একটি অংশ।

এদিকে এদিন বিকালে তারেককে আদারতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(এসএমএ/এএস/মে ০৮, ২০২৫)