রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৭৮ জন বাংলাদেশীকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়ার চারদিন পর ৭৫ জনকে তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কোষ্ট গার্ড ও পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনের পর তাদেরকে শ্যামনগর থানা থেকে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অভিযোগ, দীর্ঘ চানদিনেরও বেশি সময় ধরে মান্দারবাড়িয়া, কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মংলা কার্যালয়ে ও শ্যামনগর থানায় আটক রাখা হলেও কেবলমাত্র প্রেস ব্রিফিং এর নামে তাদেরকে একদিন বেশি আটক রাখা হয়েছে।

আটককৃতদের স্বজনরা জানান, ৮ মে সন্ধ্যায় সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় ৭৮ জন বাংলাদেশীকে ঠেলে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ৭৫ জন ভারতের গুজরাট রাজ্যে আমেদাবাদ ও সুরাটে বসবাস করতো। সেখানে বসবাস করাকালিন তিনজন আমেদাবাদে জন্ম নেয়। ফলে ভারতীয় ঠিকানা হিসেবে অবৈধপথে ভারত ধেকে বাংলাদেশে আসার অভিযোগে তাদেরকে মামলা দিয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রবিবার রাত ১১টার দিকে ৭৮ জনকে শ্যামনগর থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপরপরই কালিগঞ্জে সার্কেলের অতিরিক্ পুলিশ সুপার মিথুন সরকার ৭৫ জনকে সোমবার তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী উদ্ধারকৃতদের স্বজনদের সোমবার সকালে শ্যামনগর থানায় আসার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। সে অনুযায়ী স্বজনরা নির্ধারিত সময়ের আগেই শ্যামনগরে পৌঁছান। এরপর প্রেস ব্রিফিং এর নামে ২৭ ঘণ্টা থানায় আটক রেখে তাদেরকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মংলা অফিসের কমা-াডার লেঃ কর্ণেল আবরার হাসান জানান, উদ্ধার করা ৭৮জনের অধিকাংশই ভারতের গুজরাটের আমেদাবাদে থাকতো। ২৬ এপ্রিল তাদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতনের পর সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় পুশ ইন করা হয়। এদের মধ্যে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়া ১০জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকুত ৭৮ জনের মধ্যে তিনজন তাদের বাড়ি ভারতে বলায় তাদের বিরুদ্ধে কোষ্টগার্ড বাদি হয়ে মামলা দিয়ে সোমবার আদালতে পাঠিয়েছে।

(আরকে/এসপি/মে ১৩, ২০২৫)