কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে মামুন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই যুবক তার নিষ্পাপ দুই শিশুকন্যাকে আছড়ে হত্যা চেষ্টার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মামুন ও তার দুই শিশুকন্যা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামুন ওই এলাকার নবিউলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রং মিস্ত্রি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় মামুনের সাথে তার স্ত্রী মেঘলা খাতুনের পরকীয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।একপর্যায়ে মামুন তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে মামুন তার দুই শিশুকন্যা কুলসুম ও জান্নাতকে আছড়ে গুরুতর আহতের পর নিজেও বটি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মামুনের স্বজন ও স্থানীয়রা তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রপচারের সময় স্ত্রী মেঘলা খাতুন মারা যান। মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে মামুন ও তার দুই শিশু কন্যা।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হাসান জানান,অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেঘলা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন দুই শিশুর মধ্যে জান্নাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও দুই কন্যা শিশুকে হত্যা চেষ্টার পর নিজেও আত্নহত্যার চেষ্টা করে মামুন নামের এক যুবক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মেঘলার মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। বিষয়টি তদন্ত করার পর আরো বিস্তারিত জানা যাবে।

(এমএজে/এএস/মে ১৪, ২০২৫)