কুষ্টিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

মো: মিশুক আহমেদ জয়, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে যুথী খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকালের দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুথী খাতুন একই এলাকার রাজমিস্ত্রি সোহেল রানার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই যুথী খাতুন ও তার স্বামী সোহেল রানার মধ্যে পারিবারিক কলহ নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এই নিয়ে গ্রামে গ্রাম্য সালিশও হয়েছে কয়েকবার। রাতে যুথীর মরদেহ ঘরের আড়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে সকালে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের পরিবারের দাবি, যুথীর স্বামী সোহেল রানা নেশাগ্রস্ত একজন ব্যক্তি। তিনি নিয়মিত যৌতুকের টাকার জন্য যুথীকে মারধর করতো। এ নিয়ে এলাকায় জনপ্রতিনিধিরা একাধিক গ্রাম্য সালিশ করেছেন। একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে যুথী তার দুই সন্তান ইয়ামিন (৬) ও ইয়াসমিনকে (৩) নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। মাস খানেক আগে স্বামীর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞ বিচারক অন্তত একমাসের জন্য সম্প্রতি যুথীকে স্বামীর সঙ্গে মিলেমিশে থাকার পরামর্শ দিলে গত ৩০ এপ্রিল আদালত থেকে দুই সন্তান নিয়ে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়িতে আসেন। আসার পর থেকে ফের যৌতুকের টাকার জন্য মারধর শুরু করেন সোহেল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মারধর করে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়েছে ঘাতক স্বামী ও শ্বাশুড়ি। তাই দ্রুত এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
(এমজে/এসপি/মে ১৪, ২০২৫)