গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ৩০
তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে মাছ চাষের ঘের কাটাকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড জেনারেল হাসাপাতাল ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান আলী, জহির গাজী জানান, হিরণ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়র্ডের সদস্য ও বর্ষাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম ফকিরের সাথে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। অতি সম্প্রতি ওই জমিতে মাছ চাষের ঘের কাটা শুরু হলে বিরোধ আরো চরম আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সমর্ধকদের মারধর করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল-সড়কি,লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে জালাল ফকির (৪৫), মেহেদী ফকির (২০), পলাশ ফকির (৩৫), আলামিন ফকির (৩০), রবিউল ফকির (২৫), রিয়াজ ফকির (২২),মিরাজ ফকির (৪৫), সুফিয়ান ফকির(২০), রফিকুল ফকির (৫৫), গাউস ফকির (৩৮), মনিরুজ্জামান ফকির (৪৫), আব্বাস আলী ফকির (৩৫), আকাশ ফকির (১৩), নাসির ফকির (২০) গুরুতর আহত হয় । গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসাপাতাল ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির বলেন, বিলে আমার একটি মাছের ঘের কাটা নিয়ে এলাকার মোকসেদ আলী ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজ শুক্রবার আমার লোকজন মোকসেদ আলী ফকিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন আমার সমর্থককে মারপিট করে। আমি লোকজন নিয়ে বাঁধা দিতে গেলে মোকছেদ আলী ফকিরের লোকজন আমাদের উপরও হামলা চালায়। হামলায় আমার প্রায় ২৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে।
মোকসেদ আলী ফকিরের ছেলে আলামিন ফকির বলেন, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির কিছুদিন আগে লোকজন নিয়ে জোর করে আমাদের জমিসহ কয়েকজনের জমিতে মাছের ঘের কাটতে ছিল। আমরা বাঁধা দিলে ঘের কাটা বন্ধ হয়। আজ শুক্রবার ইব্রাহিম ফকির লোকজন নিয়ে আমাদের সেই জমিতে ঘের কাটার প্রস্তুতি নেন। এতে আমরা বাঁধা দেই। এ নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ি। সংঘর্ষে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ইব্রাহিম ফকিরের শাস্তি চাই।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(টিবি/এসপি/মে ১৬, ২০২৫)