স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে শুরু হওয়া এই অভিযানে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাংশে ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাট, আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস থেকে শুরু করে সব কিছু একে একে সব ভেঙে ফেলা হয়। যদিও আওয়ামী লীগ পার্টিঅফিস এর জায়গা ১৯৯৩ সালে সামাদ বেপারী গং থেকে ৬ শতক সাফকাওলা দলিলের মাধ্যমে খরিদ করেন তৎকালীন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আবুল হাসনাত। তখন থেকেই দলীয় সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো এখান থেকে। তবে উচ্ছেদের এই দৃশ্যে ব্যতিক্রম হিসেবে টিকে রয়েছে সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা অভিজাত কেক-বেকারির দোকান, মিঠাই।

অভিযানের পুরো সময়জুড়ে আশপাশের দোকান ভাঙচুর ও সরিয়ে নেওয়ার দৃশ্য দেখা গেলেও ‘মিঠাই’ দোকানটির গায়ে কোন আঁচও লাগেনি। মিঠাইকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে দাড়িয়ে যায় স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের একাংশ। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে শুরু হয়েছে গুঞ্জন ও প্রশ্ন, সবাই উচ্ছেদের শিকার হলেও মিঠাই কেন ব্যতিক্রম?

এক পথচারী বলেন, চোখের সামনে একে একে দোকান ভেঙে দেওয়া হলো, অথচ মিঠাইকে ছোঁয়াও গেল না। স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা আতাউর'র দোকান হওয়ার কারণেইকি প্রশাসন মিঠাইকে ভাঙ্গার সাহস করেনি! অভিযানে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করছেন, দোকানের কেকের গন্ধেই হয়তো নীতিমালা গলতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার মার্কেটের সামনে থেকে মারিখালী ব্রিজ পর্যন্ত অবৈধ দোকানপাট বয়াল তবিয়তেই আছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

সোনারগাঁয়ের ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, মিঠাইয়ের সঙ্গে সওজ-এর মামলা চলমান রয়েছে এবং হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দোকানটি ভাঙা হয়নি।

উল্লেখ্য, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই যানজট ও পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিল ফুটপাত দখলদাররা। ফলে প্রশাসনের ধারাবাহিক উচ্ছেদ অভিযান প্রশংসিত হলেও নির্দিষ্ট কিছু স্থাপনার ক্ষেত্রে বিচার-বিভাজনমূলক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে স্থানীয়দের মধ্যে।

(এসবি/এসপি/মে ১৬, ২০২৫)