নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় গুলিবর্ষণ, অস্ত্রসহ পাঁচজন আটক

রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়ার বাবুপুর গ্রামে মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরদার ও শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মসজিদের ভেতর কালিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মুজিবুর রহমান লক্ষ্য করে গুলি করলে৷৷ একজন আহত হয়।
শুক্রবার (১৬ মে) জুম্মার নামাজের পর নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের জামে মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি টেটা, ১টি হকিস্টিক, ৩টি রামদা, ২টি কুড়াল ও ১টি ছুরি উদ্ধার করে। অভিযানে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ পাঁচজনকে আটক করে কালিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, কালিয়া পৌর এলাকার কুলসুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন সরদারের ছেলে ও কালিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে শুভ সরদার। এছাড়া অন্যরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে সাইমুন সরদার, মৃত আকরাম সরদারের ছেলে নান্নু সরদার ও হাবিবুর রহমান সরদারের ছেলে দীপ সরদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি রমজান আলীকে গত বুধবার ( ১৪ মে) আসর নামাজের পর মারধর করে সরদার বংশের রশিদ সরদার।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের ভেতর ঈমামকে মারধোরের বিষয়ে কথাকাটির একপর্যায়ে সরদার এবং শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সরদার বংশের মুজিবুর রহমান সরদার মসজিদের ভেতর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। এতে হারুন অর রশিদ নামের একজন মুসল্লী আহত হয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(আরএম/এএস/মে ১৭,২০২৫)