সাতক্ষীরায় ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা, ভিকটিমদের জবানবন্দি

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের একটি গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর ছাতের হাতে একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ ও সদর উপজেলার পায়রাডাঙা গ্রামে মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামারের কর্মচারীকে বেঁধে রেখে অন্তঃস্বত্বা গৃহবধুকে গণধর্ষণের ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে আরাফাত এর নাম উল্লেখ করে শনিবার রাতে কালিগঞ্জ থানায় ও ধর্ষিতা অন্তঃস্বত্বা গৃহবধু বাদি হয়ে রবিবার তিনজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
কালিগঞ্জের ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে রবিবার সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তনিমা মণ্ডলের খাস কামরায় ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। একইভাবে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা ওই ছাত্রকে যশোরের পুলেরহাট আবাসন কেন্দ্রে (নিরাপত্তা হেফাজত) পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে তার বাবা ও মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের একটি গ্রামের দিন মজুরের মেয়ে ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র খেজুর খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শুক্রবার বিকেলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা ওই ছাত্রকে মারপিট করে তার বাবা ও মায়ের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বাবা ও ও মা ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আরাফাতের নাম উল্লেখ করে শনিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। রবিবার আরাফাতকে আদালতের মাধ্যমে যশোরের পুলেরহাট আবাসন কেন্দ্রে (নিরাপত্তা হেফাজত) পাঠানো হয়েছে। ওই ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে বাবা ও মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. জিয়াউর রহমান জিয়া।
অপরদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত দুটোর দিকে সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাা গ্রামের রবিউল ইসলামের মুরগি ও মাছের সমন্বিত খামারের পুরুষ কর্মচারিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত ও মুখ বেঁধে তার ৫ মাসের অন্তঃস্বত্বা স্ত্রীকে গণধর্ষণ, নগদ টাকা ও সোনার গহনা লুটপাটের ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে রবিবার সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন নির্যাতন আইন ২০০০ সালের সংশোধিত পেনাল কোর্ডের ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক।
(আরকে/এএস/মে ১৮,২০২৫)