গৌরনদীতে বীর মক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
.jpg)
আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, অপমানজনক ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে পাঁচটি মেডেল প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান মাঝি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রোববার একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় গৌরনদী পৌরসভার আশোকাঠি গ্রামের মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে তুহিন ফকির, গোরক্ষডোবা গ্রামের কবির মাঝির ছেলে মো. সজিব মাঝি ও তাঁরাকুপি গ্রামের হারুন বেপারীর মেয়ে পপি ও তার স্বামী আজমল সিদ্দিকি সোহাগকে আসামী করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এইচএম মিজানুর রহমান পিকু জানিয়েছেন, বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান মাঝি ১৯৬৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পাকিস্তান আর্মিতে বর্তি হন। চাকুরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৯৭১ সালের ১৮ মার্চ ঢাকা ট্রানজিট ক্যাম্প কুর্মিটোলা থেকে পালিয়ে ৯ নং সেক্টরে সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনীতে কর্পোরাল হিসেবে কর্মরক থাকা অবস্থায় ১৯৮১ সালে ১৫ এপ্রিল অবসর গ্রহন করেন। মুক্তিযোদ্ধার নিয়ে দেশ ও জাতি যখন গর্বিত তখন আসামিরা একজন নির্ভিক দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধাকে কটাক্ষ এবং বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার সমগ্র জাতিকে কলংকিত করেছে। আসামি পপি ও তার স্বামী আজমল সিদ্দিকি সোহাগের প্ররোচলনায় অপর আসামি তুহিন ফকির ও মো. সজিব মাঝি তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক অশালীন, কটুক্তি পূর্ণ, ও মিথ্যা পোস্ট করেন। এসব পোস্টে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান মাঝি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, অবমাননাকর এবং আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করা হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, মামলার কপি এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি। কপি হাতের পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
(টিবি/এসপি/মে ১৯, ২০২৫)