একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে সরকারি জমি থেকে অর্ধশত গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে সোমবার সকালে পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের গড়াই নদীর লক্ষ্মীপুর ঘাট এলাকা থেকে গাছগুলো উদ্ধার করা হয়। প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা এ গাছ উদ্ধার করে। তবে কে বা কারা গাঁজার গাছগুলো চাষ করেছে এ বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি তারা।

জানা যায়, গাঁজার গাছগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়নের কেওয়াগ্রাম বাজার সংলগ্ন একটি ঈদগাহ্ মাঠে রাখে যুবকরা। প্রতিটি গাছের উচ্চতা প্রায় ৬ থেকে ৮ ফিট।

প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী সদস্য সবুজ বলেন, সংবাদ পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি পর সকালে নদীর চর এলাকা থেকে গাজার গাছ গুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

অপর এক স্বেচ্ছাসেবী সদস্য বলেন, গড়াই নদীর লক্ষ্মীপুর ঘাট এলাকা থেকে গাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে গাছগুলো চাষ করা হয়েছিল কিনা বা এমনিতেই হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারিনি।

মিলন নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সদস্য বলেন, আমরা প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা সহযোগিতায় এলাকায় মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকি। এর আগেও একজনকে মাদকসহ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকে আমরা প্রায় অর্ধশত গাজার গাছ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় বিভিন্ন মহল থেকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে আমাকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। আমার নামে মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, আমাদের এলাকার প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা অনেকগুলো গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে। এর আগেও ওরা একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশে দিয়েছিল। এলাকায় ওরা অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, কসবামাজাইল নদীর মধ্যে সরকারি খাস জায়গায় কে বা কারা গাছগুলো লাগিয়েছিল তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গাছগুলো চেয়ারম্যানের লোকজন উঠিয়ে আমাদের জানিয়েছে। ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

(একে/এসপি/মে ১৯, ২০২৫)