বোয়ালমারীতে মহিলা কলেজে মানববন্ধন প্রতিবাদ সভা

কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী পৌর সদরের কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের সদ্য বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ ও বিএনপি নেতা, সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আফতাব উদ্দীন ভবনের সামনে "এলাকাবাসী"র ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বোয়ালমারী উপজেলান বিএনপির একাংশ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিলো।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ কলেজের বিভিন্ন তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি কলেজের একটি নলকূপের মাথাও বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। কেউ কলেজের দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে আসলে তিনি গোপালগঞ্জের পরিচয় দিয়ে ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করতেন।
বক্তারা বলেন, “তিনি বিগত সরকারের আমলে ফ্যাসিবাদী আচরণ করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন, কাউকে তোয়াক্কা করেননি।”
তারা আরও বলেন, বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বুধবার খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফরিদ আহমেদকে পুনরায় অধ্যক্ষের চেয়ারে বসানো হতে পারে—এমন আশঙ্কায় এলাকাবাসী কলেজে অবস্থান নেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মাত্র দুই-তিন দিন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় তিন লক্ষ টাকা উত্তোলন করে অধ্যক্ষের সাথে ভাগাভাগি করে নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি ও বিএনপি নেতা মফিজুল কাদের খান মিল্টন, সাবেক কাউন্সিলর শেখ আতিকুল আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবু, বোয়ালমারী সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপন মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হাসান সজিব প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেত, সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান, “আমি ঢাকায় আছি। কে বলেছে আমি অধ্যক্ষকে নিয়ে কলেজে যাব? এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বর্তমানে যারা কলেজে বেশি ঘোরাঘুরি করছে, তারা সবাই বিএনএম এর দালাল। তারা পতিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাজী সিরাজুল ইসলামের মেয়ে কাজী শাহরিন ইসলামকে সভাপতি এবং কথিত বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর স্ত্রী শাহিনা আক্তারকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করে কলেজের টাকা লুটের পায়তারা করছে।”
(কেএফ/এসপি/মে ২১, ২০২৫)