আশাশুনিতে যুবদল নেতার নেতৃত্বে এক নারীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতা সোহাগ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদে এক নারীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের খোকন সরদারের স্ত্রী নুর নাহার বিউটি এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সোহাগ হোসেন গত ১৭ মে বেলা ১০ টার দিকে আশাশুনির চাপড়া পার্কের ভিতরে ডেক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সোহাগ তারসহ পরিবারের সদস্যদের উক্ত জমি হতে উচ্ছেদ করে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সোহাগ হোসেনের নেতৃত্বে দক্ষিন চাপড়া গ্রামের মৃত সোহারাব আলী সরদারের ছেলে মোঃ আমিরুল ইসলাম (বাবুল (৪৫), মোঃ শাহিনুর ইসলাম (৪০) ও মোঃ মিজানুর রহমান (৪৮), মৃত হান্নান সরদারের ছেলে মোঃ ওলিউল (৪০) ও মোঃ ছোট বাবু (৩৫), আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ শিশির হোসেন ইমন (২৫) ও মোঃ স্বাধীন হোসেন (২২), মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে মোঃ আবির হোসেন (২৫) ও মোঃ জাকির হোসেন (২৩) হাতে বাশের লাঠিসোঠা, লোহার রড, ধারালো দা ও দেশীয় অস্ত্র-শাস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ির ভিতরে অনাধিকার প্রবেশ করে তাদেরকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।
নুর নাহার অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা তার বাড়ির উপরে থাকা বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি কাটে ও ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। পরে বসত ঘর ভাংচুর করে ঘরের ভিতরে ঢুকে আলমারিতে রাখা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও আলমারিতে থাকা ৩ ভরি ওজনের বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণে গহনা যার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুটপাট করে নেয়। এ সময় তার ও পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও ক্ষয়ক্ষতি করবে, রাস্তাঘাটে একলা পেলে হাত ও পা ভেঙ্গে পুঙ্গ করবে এবং বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করলে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে তিনি ওই ঘটনায় আশাশুনি থানাতে মামলা করতে গেলে যুবদল নেতা সোহাগ হোসেনের ক্ষমতার প্রভাবে মামলা না নিয়ে থানা হতে তাড়িয়ে দেয়।
তিনি এ ঘটনায় উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
(আরকে/এএস/মে ২১, ২০২৫)