মো: মিশুক আহমেদ জয়, কুষ্টিয়া : দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই নিয়ে জেলাজুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে শহরের কালিশংকরপুর সোনার বাংলা মসজিদ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়। তবে গ্রেপ্তারের বিষয়টি এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গেল দেড় মাস আগে কালিশংকরপুর সোনার বাংলা মসজিদ এলাকার মৃত মীর মহিউদ্দিনের বাড়ির নিচ তলা ভাড়া নেয় দুই যুবক। ওই বাড়িতেই থাকতেন তারা। বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেওয়ার পর থেকে বাড়ির দরজা-জানালা খুলতে দেখেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ হঠাৎ ভোর রাতে বাড়িটির তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন তারা। এরপর দেখতে পান সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর দুজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান তারা। এরপর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে আশপাশের এলাকাবাসীদের।

মেসের ছাত্ররা জানায়, বাড়ির সামনে সেনাবাহিনীর ৫ থেকে ৬টি গাড়ি আসে। গাড়ির বহরে একটি কালো মাইক্রোবাসও ছিল। ২০ থেকে ৩০ জন সেনাসদস্য বাড়ির তালা খুলতে বলেন। তালা খোলার পর তাঁরা দোতলা ও তিনতলায় ওঠেন। এরপর মেসের সব বাসিন্দাকে দ্বিতীয় তলার একটি ও তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রাখেন। এক কর্মকর্তা বলেন, তোমাদের কোনো ভয় বা সমস্যা নেই। তোমরা বসে থাকো। এখানে অভিযান চলছে। সেনা কর্মকর্তা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন বলে ছাত্ররা জানান। দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি ওই মেসে থাকে কি না, সেটি জানতে চান। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে নিচতলায় তল্লাশি চলে। আটটার কিছু সময় পর কালো মাইক্রোবাসটি একদম গেটের সামনে চলে আসে। নিচতলা থেকে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে হাতকড়া পরা ও মাথায় গামছা বাধা অবস্থায় গাড়িতে তোলা হয়। আরেক যুবকের কোমরে ও শরীরে দড়ি দিয়ে বাধা ছিল। এক ছাত্র কৌতূহলবশত জানতে চান কাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন একজন সেনা কর্মকর্তা তাঁদের বলেন, এখন বিস্তারিত বললে ভয় পাবা। পরে মিডিয়াতে দেখে নিও।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে গ্রেফতারের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

(এমজে/এসপি/মে ২৭, ২০২৫)