আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : ব্যাংকের সিড়িতে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা চুরির চেষ্টা কালে আটক নারী চোরকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে চোরকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে গৌরনদী বন্দরস্থ সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বের হওয়ার সময় ব্যাংকের সিড়িতে এক ব্যক্তিকে চারদিকে থেকে ঘিরে ধরে ব্যাগ থেকে টাকা চুরির চেষ্টা চালায় তিন নারী। এরইমধ্যে হাবিবা আক্তার নামের এক স্কুল শিক্ষক বিষয়টি দেখতে পেয়ে চুরির হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে রক্ষা করে এবং চোরচক্রের এক সদস্যকে আটক করে ব্যাংকের মধ্যে নিয়ে যান। পরে রহস্যজনক কারনে চোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঈদুল আজহার আগে আটক চোরকে ছেড়ে দেওয়ায় ঘটনায় ব্যাংক ম্যানেজার ও পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যাংকের গ্রাহকরা।

সোনালী ব্যাংক গৌরনদী শাখার ম্যানেজার নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল প্রথমে চোরের তথ্য দিতে গড়িমসি করলেও পরে অবশ্য জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী ও চোরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর কি হয়েছে আমার জানা নেই। তবে চোরের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি তা দিতে পারেননি।

ভুক্তভোগী গৌরনদী টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা নাজির আহম্মেদ বলেন, মামলার প্রসেসিংয়ে যেতে চাইনি। তাই ওই চোরকে ছেড়ে দিয়েছি। চোরকে ছেড়ে দেওয়ার অধিকার আছে কিনা জানতে চাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

গৌরনদী মডেল থানার এসআই মিতুল কুমার জানিয়েছেন, আমরা তাকে হেফাজতে নেইনি। তাই ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ছেড়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মূলত ওই নারী বেদে সম্প্রদায়ের। সে একেক সময় একেকটা নাম বলে। তিনিও (এসআই) ছেড়ে দেওয়া চোরের পুরো তথ্য দিতে ব্যর্থ হন।

(টিবি/এসপি/মে ২৭, ২০২৫)