মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর কার্যালয়ের ৫ সদস্যের একটি টিম অভিযান চালিয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন। এছাড়াও হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথেও কথা বলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের শকুনী মৌজায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ তলা বিশিষ্ট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ শেষে মাদারীপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। পরে ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়। এরপর তিন কোটি টাকার ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা হয়। রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আইসিইউ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই আইসিইউ’টির কক্ষ তালাবদ্ধ থাকে। এতে করে মাদারীপুর জেলার রোগীরা ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের কোনো সেবাই পাচ্ছে না। হাসপাতালে সিটিস্ক্যান মেশিন আছে। সেটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের নিন্মমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ ওঠে। আরো অভিযোগ উঠে হাসপাতালটির সাবেক প্রধান সহকারি কাম হিসাবরক্ষক গোলাম কাওসার মিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি ভাউচার ছাড়া ২৬ লাখ টাকার তেলের বিল উত্তোলন করেছেন। এ সব নানান বিষয়ে এক ভুক্তভোগী দুদকের প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তদন্তে নামে মাদারীপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের নানান অভিযোগ ও অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সত্যতাও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নথিপত্র যাছাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/জুন ০১, ২০২৫)