নওগাঁ প্রতিনিধি : মঙ্গলবার দিনগত রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় নাজিম উদ্দিন (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রাতেই পুলিশ ৩ মহিলাসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। নিহত নিজাম উদ্দীন পত্নীতলা উপজেলার মেহরুন গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের পুত্র বলে জানা গেছে। অপরদিকে জেলার মান্দা থানার পুলিশ বুধবার বিকেলে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে।

পুলিশ ও এলাবাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উষ্টি গ্রামের ফুল মোহাম্মদের পুত্র বেলাল হোসেন (৪৭) মঙ্গলবার দিনগত রাতে মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীন (৬৫) কে ডেকে নিয়ে উষ্টি গ্রামের এক পুকুর পাড়ে বনভোজনের আয়োজন করে।

বনভোজন শেষে রাত ১২টার দিকে তারা দু’জন বাড়ি ফেরার পথে আকবরপুর ইউপির আয়াপুর গ্রাম সংলগ্ন রাস্তায় দুর্বৃত্তরা তাদের পথ রোধ করে এবং তাদের ওপর এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করলে মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় বেলাল হোসেনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পতœীতলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে বেলালের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতার মর্গে প্রেরণ করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে নওগাঁর পুলিশ সুপার মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ নারীসহ ৬ জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

অপরদিকে বুধবার দুপুরে মান্দা উপজেলার উথরাইল বিলের পানি থেকেঅজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।বুধবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বিলের পানিতে লাশটি দেখতে পেয়ে থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করে বিলের পানিতে ফেলে রেখেছে বলে লোকজন ধারনা করছে। নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্বাঞ্চল) মো. কফিল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

(বিএম/এএস/ডিসেম্বর ১০, ২০১৪)