পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতের পুশইন, ৯ শিশুসহ আটক ২৬

স্টাফ রিপোর্টা, পঞ্চগড় : পঞ্চগড় সদর উপজেলায় পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে ৯ শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (২ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি ও চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। পুশইন হওয়া ২৬ জনের মধ্যে ৮ পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং ভারতে অবস্থান করে কাজ করে আসছিল। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে হরিয়ানায় এলাকা হতে আটক করে বিমানযোগে বাগডোগরা বিমানবন্দর এনে বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা ৯ জনকে বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে এবং ১৭ জনকে খুনিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে।
বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশইন হওয়া ৯ জনকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা আটক করে ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়। অপরদিকে খুনিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৭ জনকে আটক করে শিংরোড বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে বিজিবি মোট ২৬ জনকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটককৃতদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
আটককৃতরা হলেন, ফরিদ হোসেন (৩৫), আশরাফ ইসলাম (২৭), রানি বেগম (২০), নয়ন (০৪), রাশিদুল ইসলাম (১০), আরজিনা (২০), আতুরবান (৪৫), রসনা বেগম (৩০), হাসান মিয়া (১০), আবু তালেব (৫৫), হাসিনা বেগম (৪০), হাসেন আলী (২৯), হোসেন আলী (২৫), আরিফুল আলী (২১), আলমগীর (০৯), মিনারা বেগম (২৫), রিনা বেগম (২৩), জুই (১৮), মেহেদী হাসান মেরাজ (০৭), লামিয়া (১৮ মাস), রিয়াজ আলী (০৭), মমিনুল ইসলাম (৩৫), রাশেদা বেগম (৩০), মিনা খাতুন (১০), মিম খাতুন (০৭), মনি খাতুন (০৪)।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, বড়বাড়ি ও খুনিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে নারী শিশুসহ ২৬ জনকে অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বিএসএফ। পরে আমাদের টহল দল তাদের আটক করে। ইতিমধ্যে আমাদের ব্যাটালিয়ন কোম্পানি ও ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বিএসএফের কাছে জানতে চেয়েছি তারা কেন অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে তাদেরকে ফেরত পাঠালো। বিজিবিকে জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত পাঠানো উচিত ছিল। সীমান্তে বিজিবি সর্বদা সচেতন আছে। যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলায় বিজিবির টহল দল ২৪ ঘন্টা সীমান্তে কড়া টহলদারি করছেন।
(আরএআর/এসপি/জুন ০৩, ২০২৫)