বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৮২০ পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক রাউন্ড কার্তুজসহ এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ বুধবার ভোররাতে উপজেলার গুনবহা গ্রামে অভিযান চালিয়ে জাহিদ মোল্যা (৩৫) নামের ওই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল ভোরে অভিযান চালিয়ে জাহিদের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি চালায়। এ সময় একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি ও ৮২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল আমিন বলেন, “আটক জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, জাহিদ মোল্যার বিরুদ্ধে পুলিশের হাত কুপিয়ে কাটা, আরেক মাদক কারবারি আল আমিনের সাথে মাদক সিণ্ডিকেট নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেয়ার মামলাসহ বহু মামলা রয়েছে। আল আমিন জাহিদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিক্রির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল। তার গ্রেফতারে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এলাকাবাসী আরেক মাদক কারবারি খোড়া মনিরুলকে আটক করার দাবি জানিয়েছে।

এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে, জাহিদ মোল্যা উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক কমিশনার ফরিদ হোসেন মোল্যার আপন ছোট ভাই, এবং খোড়া মনিরুল বিএনপি নেতা ও ইউপি মেম্বার মো. নাজমুল হাসানের ছোট ভাই হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মুখ খুলতে সাহস পায়না। ইতোপূর্বে এসব চিহ্নিত মাদক কারবারি ও বহু ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার হলেও সহজেই জামিনে চলে আসে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের একজন সুনামধন্য সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতি ও জীবন নাসের চেষ্টা মামলার আসামী উক্ত দু'জনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষীর অভাবে আদালত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়।

(কেএফ/এসপি/জুন ০৪, ২০২৫)