তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেল ধরে আকত আলী খান (৭৫)  নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা  করা হয়েছে। এসময় কিছু বাড়িঘর ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।

মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের বাহাড়া পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ১ টার দিকে আকত আলী খান মারা যান।

মৃত্যুর সংবাদ এলাকা পৌঁছালে দু'গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কিছু বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

ওই উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের বাহাড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাদশা মাতুব্বর ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শহিদ হোসেন মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরধরে মামলা মকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছিল।

হত্যাকাণ্ডের শিকার আকত আলী খানের বড় ছেলে হেলাল খান বলেন, আমার বাবা বাদশা মাতুব্বরের সমর্থক ছিলেন । তিনি বুধবার (৫ জুন) রাতে গ্রামের মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় আমরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। বাহাড়া পশ্চিমপাড়ার জহুর আলী খানের ঘাসের জমিতে গুরুতর জখম অবস্থায় বাবাকে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তিনি মারাযান।

হেলাল খান বলেন আরো বলেন, নামজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাহাড়া পশ্চিমপাড়ার জহুর আলী খানের ঘাসের জমির কাছে পৌঁছান বাবা। তখন পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মাথায় আঘাত করে আমার বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় বলে বাবার কাছ থেকে জানতে পেরেছি।

মুকসুদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকার বাড়ি ভাংচুরের কোন খবর আমাদের কাছে আসেনি। তবে এঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। তাই মামলা হয়নি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

(টি৫বি/এসপি/জুন ০৫, ২০২৫)