বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পুরাতন পুকুর সংষ্কার কাজে অনুমতি না নিয়ে মাটি বিক্রির অভিযোগে মোঃ রাশেদুল ইসলাম উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তির ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত বুধবার সন্ধ্যায় উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের গফুর মাত্বারের পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদুল ইসলাম উজ্জ্বল মৃত আলাউদ্দিন সরদারের পুত্র।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাশেদুল ইসলাম উজ্জ্বল একজন পল্টি র্ফাম হ্যাচারী ব্যাবসায়ী। বাড়ির পাশেই হ্যাচারী পল্টি র্ফামের গড়ে তুলেছেন। রয়েছে কৃষি জমিতে ধান চাষ সহ নানা ধরনের ফসলের ক্ষেত।বাড়ির সামনে অকেজো একটি পুকুর রয়েছে। দীর্ঘদিন পুকুর সংষ্কার অভাবে মাছ চাষবাদের অনুপযোগী থাকায় উপজেলা প্রশাসন অনুমতি না নিয়ে এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে পুকুর সংষ্কার কাজ শুধু করে। উপজেলা প্রশাসনের মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধের অভিযানে পুকুর মালিক ও ইউএনও মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন ২০১০ সালের বালু ও মাটি উত্তোলন আইনে ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দিয়েছে। তাৎক্ষণিক গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের সহায়তা জেল হাজতে প্রেরণ করে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গোয়ালন্দে ভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু ব্যাবসাহী। অভিযানে বন্ধ হয় না মাটি ও বালু উত্তোলন। প্রশাসনের অভিযানে কখনো ট্রাক জব্দ বা ভেকুর ব্যাটারী (এক্সকাভেটর) জব্দ করে কিছু দিনপর জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। অথচ এবার পুকুর সংষ্কার কাজে পুকুর মালিকের সাথে ইউএনওর বাকবিতন্ডের ফলে এমন সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা দুঃখজনক ঘটনা।

দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদুল ইসলামের মা রওশানায়ারা বেগম বলেন, আমাদের নিজের জায়গায় পুকুর খনন করায় ইউএনও আমার ছেলেকে ৬ মাসের জেল দিয়েছে। ছেলের এই ঘটনার পড়ে একটু পানিও মুখে দেই নাই। আমার ছেলের বউ লটা অন্তঃসত্ত্বা। কিছুদিনের মধ্যে তাকে ডাক্তার দেখাতে হবে। এখন আমাদের পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পরেছি।

স্ত্রী তানজীলা আক্তার শিলা বলেন, আমার দুটি সন্তান রয়েছে।ওরা বাবা বাবা করে সারাদিন কান্না করছে। আমি এক জন অসুস্থ মানুষ। এই এসময়ে আমাদের প্রতি অবিচার করেছে। আমার স্বামী কে মুক্তি দিয়ে আমার পরিবার ভাবমূর্তি রক্ষা করতে আবেদন জানাই।

(একে/এসপি/জুন ০৬, ২০২৫)