ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর তীরে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ইসলাম পাড়া ঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার (৫ জুন) নদীপথে এসে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হঠাৎ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরে বিকেলের দিকে ওই এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হলেও সন্ত্রাসীদের পাওয়া যায়নি।

এদিকে বালুমহাল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামপাড়া ঘাটে মানববন্ধনের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

স্থানীয়রা জানান, ঈশ্বরদীর পাশের উপজেলা নাটোরের লালপুর এলাকার বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন শহীদুল ইসলাম। তারই সন্ত্রাসী বাহিনী লালপুর ও ঈশ্বরদীর বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ নিতে চান। নদী ও বালু মহালের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রায়ই তারা নদীপথে এসে স্থানীয় ও বালু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। বৃহস্পতিবারও সকালে তারা নদী পথে এসে প্রথমে গুলিবষর্ণ এবং বালু ব্যবসায়ীদের অফিস ও ভেহিকেল ভাঙচুর করে। নদীতে মাঝিদের মাছ ধরতে বাঁধা প্রদান করছে বলে জেলেরা অভিযোগ করেছে। নদীতে নামলেই তারা এসে গুলি করছে।

এসব ঘটনায় নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্ক দিন কাটাচ্ছেন। রাতে কেউ বাড়িতে থাকতেও পারছেন না। বেশ কিছুদিন ধরে বালু কাটা নিয়ে নদী এলাকায় দ্বন্দ্ব বিরাজ করলেও নৌ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

গুলি ও অস্ত্র নিয়ে মহড়ার পর বিকেলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ঈশ্বরদীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুন নুর বলেন, বালুমহাল নিয়ে দু’দিন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। আগের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। আজকে আবারও দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমরা যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তবে স্পটে সেসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। কেন এমন ঘটনা ঘটছে, কারা ঘটাচ্ছে তা নিযে তদন্ত চলছে।

(এসকেকে/এসপি/জুন ০৬, ২০২৫)