তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাবুদ্দিন আজমকে আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গোপালগঞ্জে জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো: সাজেদুর রহমান জানান, সেনাবাহিনীর উপর হামলা ও গাড়ি পোড়ানো, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মীরপুর এবং যাত্রাবাড়ি থানায় দায়েরকৃত হত্যা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর উপর হামলা মামলার এজাহার নামীয় আসামি জিএম সাহাবুদ্দিন আজমকে রাত ৯টার দিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের গোপালগঞ্জ সদর আমলী আদালতে হাজির করা হয় । ওই আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনুশ্রী রায় তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ নেতাকে গোপালগঞ্জ জেলা কারগারে পাঠানো হয়।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, জিএম সাহাবুদ্দিন আজমের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে (৩৭) সেনাবাহিনীর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকেও রাতে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জে জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান জানান, রাত সাড়ে ৯ টায় জিএম সাহাবুদ্দিন আজমকে জেলা কারগারে আনা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারপর তাকে নিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকার কাশিমপুর কারগারের দিকে রওনা হয় গাড়ি বহর।

উল্লেখ্য, মেডিকেল ভিসায় ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার সকালে জিএম শাহাবুদ্দিন আজম বেনাপোলে ইমিগ্রেশনে যান। কিন্তু তার পাসপোর্ট লক থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ।পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাকে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গোপালগঞ্জে নিয়ে আসে।

(টিবি/এসপি/জুন ১১, ২০২৫)