বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৈশালা (পালপাড়া) গ্রামে দীপা রানী পাল (২২) নিহত দীপা রানী পাংশা পৌর এলাকার মৈশালা (পালপাড়া) গ্রামের সিঙ্গাপুরপ্রবাসী মিঠুন পালের স্ত্রী। ছয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের ঘরে পাঁচ বছর বয়সী যমজ দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

নিহতের শাশুড়ি সাধনা রানী বলেন, বুধবার (১১ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার দিকে বৌমা কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরদিন (১২ জুন) সকাল ৫টার দিকে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় মৈত্রডাঙ্গী গ্রামের জব্বার মন্ডলের ছেলে সাহাই, ইমারতের ছেলে সালাম ও চাঁদ আলীর ছেলে মাসুদ। ফেরার সময় তার কানের দুল, হাতের শাঁখা ও সিঁথিতে সিঁদুর ছিলো না। এরপর আমাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তাও বলে। রাতে বের হওয়ার সময় সে নগদ ১৪ হাজার টাকাও নিয়ে যায় বলে জানায়। সকাল ৭টার দিকে সে ঘরে ঘুমাতে যায়। তারপরই কোন একসময় এ ঘটনা ঘটায়।

স্বামী মিঠুন পাল অভিযোগ করেন, দীপার ‘সাগর খান’ নামের একটি ফেসবুক আইডির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তির ডাকে সাড়া দিয়েই দীপা রাতে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে ফিরে এসে মোবাইলে একজনের সঙ্গে কথাও বলে। রাতে ওর সাথে হয়তো খারাপ কিছু হয়েছে। আর সেকারণেই সে আত্মহত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার কামনা করছি।”

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, তাদের পরিবারে কোন ঝামেলা ছিলো না। অন্য পুরুষের সাথে মোবাইলে কথা বলা ও পরকীয়া সম্পর্কের কারণেই এমনটি করেছে বলে মনে হচ্ছে।

এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরোদেহ রাজবাড়ী মর্গে পাঠাই। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে নিহতের পিতা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার এজাহার দিয়েছেন।”

(একে/এসপি/জুন ১৩, ২০২৫)