দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের নাজমা আক্তারের বসত বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের ভয়ে পালিয়ে রয়েছে। আজ সোমবার গোপন জায়গা থেকে বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন নাজমা বেগম।

অভিযোগ উঠেছে, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত খন্দকার সাদিক রেজা আরিফ খন্দকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। হামলার সময় সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের উপস্থিতি দেখা যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মাচ্চর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অধিবাসী রেজা খন্দকারের সাথে নাজমা আক্তারের পূর্ব থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিগত দিনে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে আদালত ও থানায় মামলা রয়েছে। বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার রাত সোয়া নয়টার দিকে নাজমা আক্তারের অবর্তমানে তার বাড়ীতে আরিফ খন্দকার, তারেক খন্দকার ও রাব্বি খন্দকারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের সশস্ত্র একটি দল হামলা চালায়। এসময় তারা বসত বাড়ীর দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার সাকিব শেখকে মারপিট করে। পরে হামলাকারীরা বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। হামলাকারীরা এসময় ঘরে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা, টেলিভিশনসহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যায়। হামলার সময় বাড়ীর চারপাশে লাগানো ১১টি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে।

হামলাকারীদের কোন কাজে বাঁধা দিলে তাদেরকে প্রাননাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অব্যাহত হুমকির কারনে তিনি ও তার সন্তানেরা গ্রামের বাড়ীতে যেতে পারছেন না।স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের সাথে যারা জড়িত তারা সকলেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তারা এখন জেলা যুবদলের প্রভাবশালী ঐ নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাত থেকে স্থানীয় অনেক গ্রামবাসী এমনকি মসজিদের ইমামও রেহায় পায়নি। যাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে সেই আরিফ খন্দকার, তারেক খন্দকার ও রাব্বি খন্দকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা এ ব্যাপারে মিডিয়ায় কোন বক্তব্য দেবেন না বলে জানান।

(ডিসি/এসপি/জুন ১৬, ২০২৫)