বিশেষ প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীর পাংশায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েকটি বসত বাড়িসহ ভাঙচুর করা হয় মোটরসাইকেল। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।

গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার কসবামাজাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কসবমাজাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো: বাবু মিয়া (সাবু গ্রু) ও কসবামাজাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: সুলতান মিয়ার (হারুন গ্রুপ) নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে বাঁধে।

আহতরা হলেন, কসবমাজাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো: বাবু মিয়া (৫৫), মো: জালাল বিস্বাস (৬৫), মো: হজরত মন্ডল (৩২), মো: হজরত মন্ডল (৩২), মো: জালাল বিশ্বাস (৬৫), মো: বিপুল (৪০), মো: লুতফর রহমান (৭০), ইকবাল মল্লিক (৫০), মো: তুহিন মন্ডল (৩৫), মো: আনোয়ার হোসেন (৪০)।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে কসবমাজাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো: বাবু মিয়ার নেতৃত্বে কসবমাজাইলে দলীয় মিটিংয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। এসময় সাবেক চেয়ারম্যান মো: সুলতান মিয়ার অনুসারীরা মিটিংয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা কারীরা দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে বাবু মিয়ার বসত বাড়িতে ডুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। মিটিংয়ে আসা নেতাকর্মীদের ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে কসবমাজাইল গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায় সুলতানা মিয়ার অনুসারীরা।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে মো: লুতফর রহমান, মো: ইকবাল মল্লিক, মো: তুহিন মন্ডল ও মো: আনোয়ার হোসেন কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার বলেন, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। এখনো কোন পক্ষ থেকে লিখত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

(একে/এসপি/জুন ১৮, ২০২৫)