প্রধান শিক্ষকের কারসাজি
দপ্তরীকে বানিয়ে দিয়েছেন ‘ঝাড়ুদার’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : সাহেব আলী, দপ্তরী হিসেবে কাজ করতেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ‘মৌবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে’। স্কুলটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্কুলটির প্রতি তার অবদান অনস্বীকার্য। তবে দপ্তরী থেকে সে এখন হয়ে গেছেন ‘ঝাড়ুদার’।
সাহেব আলীর অভিযোগ,এই কাজে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক দিদার হোসেন জড়িত আছেন। এমনকি প্রধান শিক্ষকের এক আত্নীয়কে তার দপ্তরী পোস্টে নিয়োগ দিয়েছেন।
সাহেব আলি বলেন, দপ্তরী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ২০২১ সালে নতুন করে স্কুলটিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী,আয়া সহ বেশ কয়েকটি পদে নতুন করে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই নিয়োগে দপ্তরী পদে চাকরী থেকে বাদ দেওয়া হয় সাহেব আলীকে। তাকে দেওয়া হয় ঝাড়ুদার পদ। এরপর এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার প্রধান শিক্ষক দিদার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাহেব আলীকে বলেন,ইচ্ছা হলে চাকরী করো, না হয় চলে যাও’। এ ঘটনার পর কয়েকদিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন সাহেব আলী। পরে পেটের দায়ে আবারও অন্যায় মেনে নিয়ে চাকরী করছেন সাহেব আলী।
সাহেব আলী বলেন, দপ্তরী হিসেবে নিয়োগের সকল কাগজ আমার কাছে আছে। তবুও প্রধান শিক্ষক কারসাজী করে এ কাজ করেছেন।আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমাকে বাদ দিয়ে তার আত্নীয়কে আমার পদে চাকরী দিয়েছেন। আমি এর সঠিক তদন্তপূর্বক এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক দিদার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। এবিষয়ে জানতে হলে স্কুলে আসতে হবে।’
প্রসঙ্গত, প্রধান শিক্ষক দিদার আলীর বিরুদ্ধে এর আগে প্রভাব খাটিয়ে ক্রীড়া শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সহ নানা অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
(এসআই/এসপি/জুন ২৩, ২০২৫)