স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল পৌর একাকার কান্দাপাড়া যৌনপল্লীতে আগুন ২২ টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যৌনকর্মীরা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কান্দাপাড়ায় অবস্থিত যৌনপল্লীতে সকালে রান্না করার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যৌনকর্মীদের কেউ কেউ ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ আগুন লাগায় ঘরের জিনিসপত্র বাহিরে বের করে আনা অসম্ভব হয়ে পরে। ঘরে থাকা ফ্রিজ, আসবাবপত্র, নগদ টাকা সহ জমিজমার দলিল পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কে খবর দিলে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আধ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভুক্তভোগীরা জানান, সকালে ঘুমিয়ে ছিলাম। পাশের ঘরে রান্না চলছিলো। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়।কিছু বুঝে উঠার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমাদের পরনের কাপড় ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নাই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে নগদ টাকা, অলংকার, জামাকাপড়, ফ্রিজ, টিভি সহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র পুড়ে গেছে। ভাগ্য ভালো কেউ মরে যাই নাই।

নারী মুক্তি'র সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা বেগম বলেন,মেয়েদের কিছু নাই। সব পুড়ে ছাই। এখনতো তাদের খাবার নাই, পরিধেয় কাপড় নাই, নগদ টাকা নাই, ঘুমানোর জায়গা নাই। তারা এখন কোথায় থাকবে, খাবে কি?

আমি আপনাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ করবো, মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে স্বাভাবিক জীবন ধারনের সুযোগ করে দিন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে ও তাদের ক্ষতি পূরনে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয় ও পৌর প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলবো যাতে দ্রুত তাদেরকে পূর্নবাসন করা যায়। এছাড়া দলীয় ভাবে সহযোগিতা করে তাদের পাশে থাকবো।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, আমরা সকাল ১১ টার পরে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। যৌনপল্লীতে রান্না করার গ্যাস সিল্ডিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ২২ টি ঘর পুড়ে গেছে। আনুমানিক প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছি।

(এসএএম/এএস/জুন ২৮, ২০২৫)