বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আড়িয়াঘাট বাঙ্গলী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভাঙচুর সহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযানে ৭টি ড্রেজার মেশিন আগুনে পুরে ধ্বংস ও একটি এক্সেভেটর জব্দ করা হয়।

সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক, সারিয়াকান্দি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো: আরাফাত এবং সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন নবীর নেতৃত্বে থানার সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, সোনাতলা সদর ইউনিয়নের আড়িয়াঘাট সেতুর উত্তর-দক্ষিন পাশে দীর্ঘদিন যাবত বাঙ্গালী নদী হতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে রমরমা ব্যাবসা চলে আসছিলো। তবে বালু তোলার কাজে এক্সেভেটর মেশিন করা হতো। অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত সাতটি ড্রেজার মেশিন আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও একটি এক্সেভেটর মেশিন জব্দ সহ বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বেশকিছু প্লাস্টিকের পাইপও অকেজো করা হয়। জব্দকৃত এক্সেভেটর মেশিন সোনাতলা থানা পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

অভিযানে আটককৃত ব্যাক্তিরা হলো সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে মোস্তাফিজার (৫২), একই এলাকার চান মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৩৫), চর বিশ্বনাথ পুড় এলাকার ফরিদ আকন্দের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (২৮), বিশ্বনাথ পুড় এলাকার দবীর উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম (৩৫), গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকার অক্ষব আলীর ছেলে মোনজার রহমান (৪০), একই উপজেলার বায়োজিত নগর এলাকার আলতাব আলীর ছেলে মো: তনু (১৮) ও গাবতলী উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুড় এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে আব্দুল মোমিন (২২)।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ৭ জন শ্রমিককে পাওয়া গেছে তারা সঠিক তথ্য না দেয়ায় তাদের প্রত্যেককে ভ্রাম্যমান আদালতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ (গ) ও ১৫ (১) ধারায় ১ মাসের বিনাশ্রমে জেল দেয়া হয়েছে। এদিকে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৭টি ড্রেজার মেশিন আগুনে পুরে ধ্বংস এবং একটি এক্সেভেটর মেশিন জব্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(বিএস/এসপি/জুলাই ০৩, ২০২৫)